প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ মিরপুরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সমাবেশ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সমাবেশে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মাখরুকা আক্তার, ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, কেন্দ্রীয় কার্যকরি সদস্য সুফিয়া বেগম ও বেসিক ইউনিয়ন নেতা: আব্দুর রউফ, তাহেরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বের শ্রমজীবি মানুষ এক সংকটময় অতিক্রম করছে। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারনে সৃষ্ট মহামারীতে গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা ও পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। করোনা মহামারীর কারনে পোশাক শিল্প ও এর শ্রমিকগণ আজ হুমকির মধ্যে পড়েছে। দেশব্যাপী লকডাউনের এই সময়ে শ্রমিকদের ৪০% মজুরি কর্তনের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বার্থে করোনাভাইরাসের এই মহামারী সময়ে শ্রমিকদের চাকুরী থেকে ছাঁটাই বা কর্মচ্যুত, লে-অফ করতে মালিকদের নিষেধ করলেও গার্মেন্টস মালিকরা উক্ত আদেশ অগ্রাহ্য করে অমানবিক ভাবে সারাদেশে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাই/কর্মচ্যুত ও লে-অফ করেছেন। প্রতিদিন কোন না কোন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই/কর্মচ্যুত করছে এবং দিন দিন লে-অফ কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জীবন জীবিকায় ভয়াবহ দূর্যোগ সৃষ্টি করবে।
বর্তমানে অধিকাংশ কারখানা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি না মেনেই খোলা রাখা হয়েছে। ইহাতে শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে।
এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে কিছু দাবি করছি।
১. মহামারী সময়ে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের লে-অফ, ছাটাই, বরখাস্ত, চাকুরী অবসান ও কারখানা বন্ধকরা যাবে না।
২. বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৮), ১২, ১৩, ১৬,২০,২২ ও ২৬ প্রয়োগ স্থগিত করতে হবে।
৩. যে সমস্ত কারখানা ইতোমধ্যে লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে, বে-আইনী লে-অফ প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সংকটকালীন সময়ে সকল শ্রমিকদের স্ব বেতনে ছুটি, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. ১৫ মে’২০২০ এর মধ্যে শ্রমিকদের পুর্ন মজুরীসহ ঈদ বোনাস প্রদান করতে হবে।
৭. করোনায় আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসার দায়িত্ব মালিক ও সরকারকে নিতে হবে।
৮. করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
পরে ২শতাধিক শ্রমিকদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।